বিবিসির বিশ্লেষণে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরবর্তী সম্ভাব্য তিনটি দৃশ্য

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটিকে নির্বাচন করতে ভোট দিতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটাররা। দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটা থেকে শুরু হয়েছে। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্য ৯টি ভিন্ন ভিন্ন টাইমজোনে অবস্থান করছে। ফলে এদিন বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে শুরু হয়ে তা আলাদা সময়ে শেষ হবে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন—আগামী চার বছর কার দখলে হোয়াইট হাউজ থাকবে তা নির্ধারিত হবে এই ভোটে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল কেমন হবে তা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষণ পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তথা দুনিয়ার মানুষ তিন ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বলে এক বিশ্লেষণে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা জন সোপেল। এর কোনও একটি ঘটতে দেখলে অবাক না হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

জন সোপেলের ধারণায়  নির্বাচন পরবর্তী সম্ভাব্য তিনটি দৃশ্য যেমন হতে পারে:

১. সহজে জিতলেন জো বাইডেন

প্রথম যে দৃশ্যটি জন সোপেল কল্পনা করেছেন তা হলো, মঙ্গলবার রাতে সহজে জয় পেয়ে যেতে পারেন জো বাইডেন। যাবতীয় জনমত জরিপকে সঠিক প্রমাণ করে আর সব উৎকণ্ঠা দূরে সরিয়ে দিয়ে জয় পেয়ে যেতে পারেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

২. ট্রাম্পের হতবাক করা জয়

দ্বিতীয় যে দৃশ্যটি এই খ্যাতনামা সাংবাদিক কল্পনা করেছেন তা হলো, ২০১৬ সালের মতো সব জনমত জরিপ এবং ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউজের দখল ধরে রাখবেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সাংবাদিক মনে করেন, পেনসিলভানিয়া ও ফ্লোরিডায় কী ঘটবে তার ওপরই নির্ধারিত হতে পারে ট্রাম্পের ভাগ্য।

 ৩. বিপুল বিজয়ে হতবাক করলেন জো বাইডেন

জন সোপেলের তৃতীয় কল্পনাটি হলো, যাবতীয় জরিপে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিললেও সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিপুল জয় পেতে পারেন জো বাইডেন। তিনি সেই বিজয়কে তুলনা করতে চান ১৯৮০ সালে জিমি কার্টারের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রিগ্যানের যেরকম ধস নামানো বিজয় কিংবা ১৯৮৮ সালে মাইকেল ডুকাকিসের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের বিজয়।

এসব দৃশ্য কল্পনা ছাড়াও আরেকটি সম্ভাবনার কথাও বলেছেন জন সোপেল। আর তা হলো, দুই প্রার্থীই সমান সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যেতে পারেন। নেব্রাস্কার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় এই পরিস্থিতি হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়ে মূলত ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নির্বাচিত করেন। আর তারাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করেন। নির্বাচনে জেতার জন্য অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। কিন্তু নেব্রাস্কার ভোট ভাগাভাগি হয়ে ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দুজনেই ২৬৯টি করে ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন বলেও ধারণা করছেন সাংবাদিক জন সোপেল।