টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়েও নড়চড় হয়নি সাকিবের জায়গা

নিষিদ্ধ ছিলেন একবছর। মাঠে নামার সুযোগ যেহেতু হয়নি, তাই র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব পড়াটা স্বাভাবিক। তবে করোনাভাইরাস ‘আশীর্বাদ’ হয়ে এসেছে সাকিব আল হাসানের জন্য। একবছর খেলার বাইরে থাকলেও টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে যে জায়গায় ছিলেন, সেখানেই আছেন তিনি। আগের মতো দ্বিতীয় স্থানেই আছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি গোপন করায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) গত বছরের অক্টোবরে নিষিদ্ধ করে সাকিবকে। তাই এই একবছর র‌্যাঙ্কিং থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল তার নাম। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কাটার পর আজই (বুধবার) প্রথমবার টি-টোয়েন্টির র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। নতুন ‌র‌্যাঙ্কিংয়ে আগেই মতো অলরাউন্ডারের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা।

টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ৪৯ নম্বরে। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে সব থেকে এগিয়ে লিটন দাস। ডানহাতি ব্যাটসম্যান রয়েছেন ২১তম স্থানে। এরপর ২৯ নম্বরে মাহমুদউল্লাহ, ৪১ নম্বরে মোহাম্মদ নাঈম, ৪২ নম্বরে সৌম্য সরকার, ৪৭ নম্বরে তামিম ইকবাল, আর মুশফিকুর রহিম রয়েছেন ৫৮ নম্বরে।

শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সে তার সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন বাবর আজম। মালানের রেটিং পয়েন্ট ৮৭৭, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবরের পয়েন্ট ৮৭১। সেরা দশে অবশ্য অবস্থানের কোনও পরিবর্তন নেই।

বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার ওপরে সাকিবই। ২০ নম্বরে তিনি। এরপর ৩০তম স্থানে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। দ্বিতীয় স্থানটাও আফগানিস্তানের দখলে, রয়েছেন আরেক স্পিনার মুজিব উর রহমান। সেরা দশে পরিবর্তন একটিই। জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুবিধা করতে না পারায় ইমাদ ওয়াসিম ১০ নম্বরে নেমে গেছেন, সমান্তরালে ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেলডন কট্রেল।