‘সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নেই। সংগঠনকে মজবুত জনবহুল তরীতে পরিণত করতে হলে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছোট ছোট বিষয়ে মতের অমিল থাকলে তা নিজেরা বসে মিটিয়ে ফেলুন। চা দোকানে বসে দলের একজন নেতা আরেকজন নেতার বিরুদ্ধে কথা বলবেন, সেটা আমাদের জন্য সম্মানের নয়। সেটা আওয়ামী লীগের মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ন করে। ঘরের বিবাদ ঘরে বসেই মিটিয়ে ফেলুন।’
শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের এই নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘সম্প্রতি দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দলের সাংগঠিনক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর প্রথমে গাজীপুর, পরে মানিকগঞ্জে দুটি বর্ধিত সভায় যোগ দিয়েছি। এভাবে অন্যান্য জেলা-উপজেলায় সম্মেলন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশ, সংগঠননের কোথাও কোনও কলহ বা দ্বন্দ্ব থাকলে অবিলম্বে তা দূর করতে হবে। দলকে করতে হবে শক্তিশালী। জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলাই হবে জেলা আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য।’
কাদের আরও বলেন, ‘ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দুঃসময়ে তারাই দলের পাশে থাকে সুসময়ের কোকিলরা তখন সটকে পড়ে। তাই ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সফলতা তুলে ধরে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে। তিনি আছেন বলেই এই অবস্থাকে মোকাবিলা করতে পেরেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ আমরা অনেকটা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’