স্বল্পমেয়াদে দেশব্যাপী লকডাউনে ফিরে যাওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদে দেশব্যাপী লকডাউনে ফিরে যাওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন জো বাইডেন। দেশটির ইতিহাসে অন্য কোনো নতুন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হননি।

সূত্র : এপি

বাইডেন চলতি সপ্তাহে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একটি উপদেষ্টা বোর্ড ঘোষণা করেছিলেন। ওই উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে লকডাউন-সংক্রান্ত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ড. মাইকেল অস্টারহোম নামের ওই কমিটির একজন সদস্য যেসব মার্কিনিদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে চার থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করার পরামর্শ দেন।

তবে পরে অবশ্য ড. মাইকেল অস্টারহোম তাঁর বক্তব্য ফিরিয়ে নেন এবং ওই প্যানেলের আরো দুই সদস্য তাঁর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা পুনরায় দেশজুড়ে লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে লকডাউনের বিষয়টি সংবেদনশীল। প্রথমত, প্রেসিডেন্টের একার পক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রায় অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমর্থন প্রয়োজন। তবে আরো স্পষ্টতই, এটি একটি রাজনৈতিক ফ্ল্যাশপয়েন্ট, যা গভীরভাবে বিভক্ত দেশকে একত্রীকরণের জন্য বাইডেনের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

এদিকে, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৫৩৭ জনে।

এ ছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ১০ হাজার ৪৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

জেএইচইউর তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৫ ব্যক্তি।

নভেল করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত এক কোটি আট লাখ ৯১ হাজার সাত জনে দাঁড়িয়েছে এবং দুই লাখ ৪৫ হাজার ৫৭৮ জন মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল ও ভারত।