তবে গত ১৪ মে ঝ্যাং ঝান উহান শহর থেকে হারিয়ে যান বলে জানিয়েছে সিএইচআরডি। একদিন পরে জানা যায়, প্রায় চারশ’ মাইল দূরের শহর সাংহাইতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। ১৯ জুন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংহাইতে গ্রেফতার দেখানো হয়। তারও প্রায় তিন মাস পর ৯ সেপ্টেম্বর তার আইনজীবীকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়।
সিএইচআরডি জানিয়েছে, গ্রেফতারের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে যান ঝ্যাং ঝান। ১৮ সেপ্টেম্বর তার আইনজীবী একটি ফোন কল পান। তাতে তাকে জানানো হয় ঝ্যাং ঝানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার প্রকাশ হয়ে যাওয়া ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঝ্যাং ঝান লেখা, ভিডিও এবং অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে উইচ্যাট, টুইটার এবং ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে উহানের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বাজেভাবে তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের জন্য তাকে চার থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝ্যাং ঝানের সমস্যা এবারই প্রথম নয়। সিএইচআরডি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে সাংহাইতে তলব করে পুলিশ। ওই সময়ে হংকংয়ের অ্যাকটিভিস্টদের পক্ষে কথা বলায় তাকে আটকও করা হয়। আটক থাকা অবস্থাতে জোর করে তার মানসিক পরীক্ষা করানো হয় বলে জানা যায়।