এ সপ্তাহেই চাঁদে অভিযান চালাচ্ছে চীন

চাঁদে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে চীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ সপ্তাহেই মনুষ্যবিহীন একটি মহাকাশযান চাঁদে পাঠিয়ে সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছে দেশটি। ১৯৭০-এর দশকের পর এই প্রথম চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে চীন।

সূত্র : রয়টার্স

জানায়, চীন যে মহাকাশযানটি চাঁদে পাঠাবে তার নাম দেওয়া হয়েছে চ্যাং’ই-৫। প্রাচীনকালে চীনের মানুষ চাঁদকে দেবতা মনে করে যে নামে ডাকতেন, সেই নাম অনুযায়ী এই মহাকাশযানটির নাম দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযানে চাঁদ থেকে যে মাটি বা পাথর সংগ্রহ করা হবে তা দিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করবেন চাঁদের উৎপত্তি ও গঠন নিয়ে। এই অভিযানে মহাজাগতিক কোনো গ্রহ বা উপগ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের সক্ষমতাও পরীক্ষা করবে চীন। এতে সফল হলে আরো জটিল সব মিশন পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

যদি চীনের এই অভিযান সফল হয় তাহলে তারা হবে তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদের মাটি সংগ্রহ করতে পেরেছে। এর আগে কয়েক দশক আগে চাঁদের মাটি সংগ্রহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন।

১৯৫৯ সালে চাঁদে অবতরণ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা-২। কিন্তু সেখানেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। এটিই ছিল মহাকাশে কোনো গ্রহ বা উপগ্রহে মনুষ্যসৃষ্ট কোনো বস্তুর অবতরণ। তবে এরপর জাপান ও ভারতসহ আরো কিছু দেশ চাঁদে অভিযান পরিচালনা করেছে।

চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠানো হয় অ্যাপোলো কর্মসূচির মাধ্যমে। ওই সময় ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছয়টি মিশনে ১২ জন নভোচারীকে চাঁদে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ে তারা চাঁদের মাটি ও পাথর মিলিয়ে ৩৮২ কেজি পৃথিবীতে বহন করে নিয়ে আসেন।

১৯৭০-এর পর থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন তিনটি সফল রোবোটিক মিশন পাঠায় চাঁদে। তারা চাঁদের নমুনা নিয়ে ফিরে আসে। চাঁদের ‘সি অব ক্রাইসিস’ অথবা মারে ক্রিসিয়াম থেকে ১৯৭৬ সালে সোভিয়েতের মিশন লুনা-২৪ বহন করে আনে ১৭০.১ গ্রাম নমুনা। আর এখন চীন যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তাতে চাঁদের বুক থেকে দুই কেজি নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।