নাঈমের সেঞ্চুরি নিয়েও ঢাকার হার, জিতেই প্লে-অফে বরিশাল

হারলেও অবশ্য প্লে-অফে যেত ফরচুন বরিশাল। তবে সেখানে `যদি’, `কিন্তু’ ছিল। বরিশাল অবশ্য বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে দিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে গেছে। রান রেটের ব্যবধানে প্লে-অফ থেকে বাদ পড়ে গেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। শনিবার বরিশালের ১৯৩ রানের জবাবে ঢাকার ইনিংস থামে ১৯১ রানে।

এদিন দলকে জেতাতে না পারলেও বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম শেখ। আগামী সোমবার এলিমেনেটর ম্যাচে এই দুই দলই লড়বে। যারা জিতবে তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়ার দলের সঙ্গে খেলবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বরিশাল তিন হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে।

এই তাড়া করার শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি ঢাকার। ওপেনার সাব্বির ১১ বলে ১৯ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে যান মুশফিক (৫) ও আল আমিন জুনিয়র (০)। ৬২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় থাকা দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী। তাদের ৫৯ বলে ১১০ রানের জুটির ওপরে ভর করে জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছিল ঢাকা। ৪৯ রানে ‘জীবন’ পাওয়ার পর ঘুম ভাঙে নাঈমের। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ মিস করেন ইমন। সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগান নাঈম। ৪৯ বলে ৫০ রান করা নাঈম দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৭ বলে। তাসকিন-সুমন -কামরুলদের বেধড়ক পিটিয়ে টর্নেডো নামান মিরপুরের ২২ গজে। সবমিলিয়ে ৬০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৫ রানে সুমন খানের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন নাঈম। ম্যাচ জেতাতে না পারলেও নাঈমই হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

এ ছাড়া সুমন খান ও কামরুল ইসলাম একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ঢাকার পরাজয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান জেমকন খুলনা। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সঙ্গে আগামী সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের দল। জয়ী হওয়া দল সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। অন্যদিকে হেরে যাওয়া দল আরেকটি সুযোগ পাবে। তারা মঙ্গলবার এলিমেনেটর ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে ফাইনাল নিশ্চিত করবে।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বরিশাল শুরুটা দারুণ করে। তামিম-সাইফ মিলে  ৫৯ রানের জুটি গড়েন। এ ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্বে খেলা মূল অধিনায়ক তামিম ১৭ বলে ১৯ রান করে আল আমিনের শিকার হন। তিন নম্বরে নামা ইমনও (১৩) দ্রুত বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে আফিফকে সঙ্গে নিয়ে সাইফ দলীয় স্কোর ১০০ নিয়ে যান। টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে অবশ্য বিদায় নেন সাইফ। ৪৩ বলে ৮ চারে সাইফ নিজের ৫০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এরপর মিরপুরের ২২ গজে শুরু হয় আফিফ-তৌহিদ ঝড়। আফিফ ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে তৌহিদ ২২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৯১ রানের জুটিতে বরিশাল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে। রুবেলে হোসেন ও আল আমিন জুনিয়র একটি করে উইকেট নেন।