শরীরের ‘কার্ভ’ মানেই ‘জিরো ফিগার’ নয়

আর সপ্তাহ পাঁচেক পরেই মা হচ্ছেন পিয়া জান্নাতুল। তবে গতানুগতিকতা ভেঙে ঘরকুনো হয়ে না থেকে স্বাভাবিক নিয়মে সব কাজই করে চলেছেন এই মডেল, অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও আইনজীবী।

গর্ভাবস্থার যে সময়টাতে সাধারণত মায়েরা ঘরে বিশ্রামে থাকেন, সেসময়টাতে পিয়া তার মডেলিং, ফটোশুট, আইন পেশা, শারীরিক ব্যায়াম সবই করে চলেছেন একই নিয়মে। গর্ভকালে অনেকেই যেমন মুটিয়ে যান, সেখানে পিয়া তার স্বাভাবিক ছিপছিপে গড়ন ঠিকই ধরে রেখেছেন।

সামাজিকমাধ্যমে প্রায়ই প্রেরণামূলক বাণীসহ নিজের ছবি শেয়ার করেন পিয়া। সেখানে ইতিবাচক-নেতিবাচক নানান জনের নানান মন্তব্যও আসে। তবে কোনকিছুরই ধার ধারেন না অভিনেত্রী। তিনি নিজস্ব কায়দায় এগিয়ে যাওয়ার মানুষ।

বিনোদন জগতের তারকা অভিনেত্রীদের ‘কার্ভ’ নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। নায়িকাদের ‘জিরো ফিগার’ পছন্দ করেন অনেক দর্শকই। তবে সকল ‘কার্ভ’ বা শরীরের বাঁক একই দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন না পিয়া।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বেবি বাম্পসহ কিছু ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে পিয়া লেখেন, ‘কখনও কখনও একপ্রকার কার্ভকে জিরো ফিগার বলা যায় না। বরং একে বলা হয় সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ’। এরসঙ্গে হ্যাশট্যাগে পিয়া জানান, এখন তার গর্ভের ৩৫ সপ্তাহ চলছে। অর্থাৎ আর মাসখানেক পরেই তার কোলজুড়ে সন্তান আসতে চলেছে।

২০০৭ সালে সুন্দরী মিস বাংলাদেশ হিসেবে আলো ঝলমলে জগতে আবির্ভূত হন জান্নাতুল পিয়া। এরপর মডেলিং দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনসহ ওয়েব কনটেন্টেও তাকে কাজ করতে দেখা গেছে।

২০১২ সালে রেদোয়ান রনির ‘চোরাবালি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চিত্রজগতে তার আগমন ঘটে। এরপর আরও কিছু সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বেশ কয়েকটি আসরে তাকে উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

জান্নাতুল পিয়া অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চোরাবালি’ (২০১২), ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’ (২০১৫), ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ (২০১৫), ‘প্রবাসীর প্রেম’ (২০১৫), ‘ছিটমহল’ (২০১৬), ‘প্রেম কি বুঝিনি’ (২০১৭)।