মেসির চুক্তির তথ্য ফাঁস নিয়ে সাবেক সভাপতি যা বলছেন

বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তির সব তথ্য ফাঁস করেছে স্প্যানিশ পত্রিকা এল মুন্দো। এর পর থেকে ঘটনার মূল হোঁতা হিসেবে একজনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছিলো- সাবেক বার্সা সভাপতি বার্তোমেউ! কারণ মেসির সঙ্গে তার সম্পর্কটা এক কথায় ছিল সাপে নেউলের মতোন। বার্তোমেউ অবশ্য অভিযোগের জবাব দিয়ে বলেছেন, তিনি মোটেও এ ঘটনার জন্য দায়ী নন।

কয়েকদিন আগে এল মুন্দোর ফাঁস করা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেসির চার মৌসুমের চুক্তির অঙ্কটা বিশাল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে করা ওই চুক্তি অনুসারে চার মৌসুম পর সব শর্ত পূরণ হলে মেসি পাবেন ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ হাজার ৭০০ কোটির কিছু বেশি!  এমনটি এটাই ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের চুক্তি! পত্রিকায় এমন খবর প্রকাশের পর মেসি অবশ্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবরই ইএসপিএনের।

আর বার্তোমেউ সভাপতি থাকাকালে মেসির সঙ্গে যে তার সম্পর্কটা মোটেও ভালো ছিল না। সেটা বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে কয়েকবারই প্রকাশ করেছেন মেসি। বার্তোমেউকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছেন।

চলমান ঘটনায় সম্পৃক্ততার খবর চাউর হলে বার্তোমেউ বলেছেন, ‘পুরোপুরি মিথ্যা একটা প্রচার। এটা অবশ্যই স্পর্শকাতর একটা বিষয়। একই সঙ্গে কোনও পেশাদারী চুক্তি গণমাধ্যমে প্রকাশ করাটাও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।’

এদিকে আর্থিক চুক্তির এমন তথ্য প্রকাশের পর থেকেই অনেকে মেসিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। তারা বলছেন, বার্সার আর্থিক ক্ষতির জন্য তাহলে মেসিই দায়ী! তবে এসব ক্ষেত্রে মেসি পাশেই পাচ্ছেন বার্সার সভাপতি পদের জন্য দুই শীর্ষ প্রার্থী লাপোর্তা ও ভিক্তর ফন্তকে। যারা আগামী ৭ মার্চ হতে যাওয়া সভাপতি নির্বাচনের জন্য দাঁড়িয়েছেন।

লাপোর্তা বলেছেন, ‘মেসি কোনওভাবেই ক্লাবকে ধ্বংস করেনি। এর জন্য দায়ী আগের বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।’

ফন্তের কথা, ‘মেসিকে রেখে দিতে আমাদের সব চেষ্টাই করা উচিত। আর এটা ২০১৭ সালে যেমন সত্য ছিল, এখনও। মেসি ক্লাবের জন্য ওই পরিমাণ অর্থের চেয়েও বেশি উপার্জনে ভূমিকা রাখে। তাই মেসি ক্লাবকে ধ্বংস করেছে, এমন দাবি করা মানে সম্পূর্ণ ভুল উপসংহারে পৌঁছানো।’