কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমা বোনার, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিলেন ২১৬ রানের জুটি। চেপে বসে থাকলেন বাংলাদেশ বোলারদের উপর। জাগালেন জয়ের সম্ভাবনাও। বোনারকে ৮৬ রানে এলবি করে জুটি ভাঙলেন তাইজুল। পরের আঘাত নাঈমের, বোল্ড করলেন ব্লেকউডকে। ঘুরে ঘুরে দাঁড়াল টাইগাররা।
সকালের সেশনে টাইগারদের ক্যাচের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। নিশ্চিত সাফল্যের রিভিউও নেয়নি। সেসব কাজে লাগিয়ে সাফল্য তুলতে থাকে সফরকারীরা। যে গতিপথ পাল্টে দেয়ার রাস্তা দেখালেন তাইজুল-নাঈম।
৩৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ রোববার ২৯৪ রানে গেছে ৫ উইকেট হারিয়ে। জিততে আরও ১০১ রান চাই সফরকারীদের, হাতে অক্ষত ৫ উইকেট। খেলা বাকি আছে ২৫ ওভার।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ উইকেটে ১১০ রানে পঞ্চম দিনের শুরু করা উইন্ডিজ কাইল মেয়ার্স ও এনক্রুমা বোনারের ২১৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ত্রাস ছড়ায়।
মেয়ার্স ও বোনার, প্রথমজনের বয়স ৩০-এর কাছাকাছি, পরেরজন ত্রিশ পেরিয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত দুজনই। অভিষেকেই ত্রাতা তারা। মেয়ার্স তুলেছেন সেঞ্চুরি, অপরাজিত ১২৯ রানের প্রতিরোধ নামের পাশে। এনক্রুমা ফিরে গেছেন ৮৬ রানে।
সকালের সেশনে সাফল্যের তিন সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। মেয়ার্স তখন ৪৭ রানে, তাইজুলের বলে এলবির আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। টিভি রিপ্লে বলছে রিভিউ নিলেই মিলত সাফল্য।
দুই রান পর মেয়ার্স জীবন পান স্লিপে। মিরাজের বলে ক্যাচ নিতে ব্যর্থ শান্ত। বোনার ২৫ রানে থাকার সময় নাঈমের বল আঘাত হেনেছিল তার প্যাডে, রিভিউ নিলে এবারও সাফল্য পেত বাংলাদেশ।