প্রথমবারের মতো শিশুদের জন্য অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শিশুদের শরীরে কতটা সুরক্ষা তৈরি করতে পারে- তা জানতে প্রথমবারের মতো গবেষণা শুরু করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

সূত্র : রয়টার্স

এর অংশ হিসেবে ৬ থেকে ১৭ বয়সী শিশুদের শরীরে এ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাবে তারা।

শনিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন ‘বিশ্ববাসীর টিকা’ হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

কারণ, এটি অন্য ভ্যাকসিনের তুলনায় সস্তা এবং বিতরণ ব্যবস্থাও অপেক্ষাকৃত সহজ। তবে ভ্যাকসিনটি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। শিশুদের শরীরে এতোদিন এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়নি।

রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩০০ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এবার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাবে তারা। এ মাসেই পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা আছে তাদের। এটি হবে মাঝামাঝি পর্যায়ের ট্রায়াল।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ বছর ভ্যাকসিনের ৩শ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এপ্রিল নাগাদ মাসে ২০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে পারার আশা করছে তারা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অংশীদার লন্ডন, সাউদাম্পটন এবং ব্রিস্টল এর সাইটগুলোতে এই মাসে ট্রায়াল শুরু হবে। ফাইজার/বায়োএনটেক এবং মোদার্নার লোকদের সাথে যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়া তিনটির মধ্যে অক্সফোর্ড জ্যাব অন্যতম।

অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের একটি ডোজ প্রস্তুত করা হয়েছে দক্ষিণ লন্ডনের স্ট্রেথহ্যামের কোপস ফার্মাসি এবং ট্র্যাভেল ক্লিনিকে।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন পরীক্ষার প্রধান তদন্তকারী প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, ‘যদিও বেশিরভাগ শিশু তুলনামূলকভাবে করোনভাইরাসের সংক্রমণে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম, তবে শিশু এবং যুবকরা এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সুরক্ষা এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, এই নতুন ট্রায়ালগুলো সার্স-কোভিড২ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত আমাদের বয়সের থেকে কম বয়সীদের মধ্যে প্রসারিত করবে। এতে ২৪০ জন শিশু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে এবং অন্যরা একটি নিয়ন্ত্রণ মেনিনজাইটিস জ্যাব পাবে।

ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম আগেই বলেছিলেন যে, শিশুদের নিরাপদ ও কার্যকর টিকা দেওয়ার জন্য ‘বেশ কয়েকটি’ ট্রায়াল চলছে।