মিয়ানমারের নতুন সামরিক শাসক দ্বিতীয় রাতের মতো দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রেখেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক নেটব্লক জানিয়েছে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় একটা থেকে দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সেনা শাসকেরা ক্ষমতা দখলের পর এনিয়ে চতুর্থবারের মতো বন্ধ রাখা হলো ইন্টারনেট। অনলাইনে ভিন্নমত দমনের চেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধ ছাড়াও অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরোধিতা বন্ধে বেশ কিছু আইনি সংস্কার করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে প্রতিদিনই জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ। অং সান সু চিসহ নির্বাচিত নেতাদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন তারা। বিক্ষোভের বাইরে জান্তা সরকারের বিষফোঁড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভ্যুত্থানকারীদের প্রতি জনগণের প্রকাশ্য অবাধ্যতা। সামরিক শাসনের অবসান এবং বেসামরিক রাজনীতিকদের মুক্তির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে হাজার হাজার সরকারি চাকরিজীবি।
এদিকে মিয়ানমারের রাজপথগুলোতে সেনা উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। কৌশলগত বহু স্থানে পুলিশের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে সেনা সদস্যরা। মূল শহর ইয়াঙ্গুনে ব্যস্ত সময়ে রাজপথে দ্রুত গতিতে চলাচল করেছে আট চাকার সামরিক গাড়ি। তবে এসব গাড়ির চারপাশে থাকা গাড়ি থেকে হর্ন বাজিয়ে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মূল মনোযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা দূতাবাস এবং সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সদর দফতর।
সোমবার মান্দালয় শহরে বিক্ষোভকারীরা আবারও জড়ো হলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে। তবে তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।