২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৯২ জন এবং মারা গেছেন ৯৪ জন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৪০৪তম দিনে নতুন ৯৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১ জন। এটি এখনও পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৯২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৯ হাজার ৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় চার হাজার ১৯২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ শতাংশ।

তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ লাখ ১১ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৩ লাখ চার হাজার ১৬০টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২টি নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ সাত হাজার ৩৬২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৯১৫ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৯৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে জন ৬৪ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। তাদের মধ্যে ৯০ জন হাসপাতালে ও চার জনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১০ হাজার ৮১। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৪৯৯ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং দুই হাজার ৫৮২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৯৪ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিন জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন রয়েছেন।

আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে তিন জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন, সিলেট বিভাগে এক জন ও রংপুর বিভাগে এক জন।