২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৩১ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৪১৬তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ ছাড়িয়েছে। নতুন ৭৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২২৮ জনে।

করোনায় চলতি মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মাসের ১৬ ও ১৭ তারিখে শুক্র ও শনিবার ১০১ জন এবং ১৮ তারিখে ১০২ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৪ হাজার ২৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০৩১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ চার হাজার ৮৪০টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন সাত লাখ ৫১ হাজার ৬৫৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ২৩৪ জনসহ মোট ছয় লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৭৬ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৪৯ জন, বেসরকারীতে ২৭ জন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১১ হাজার ২২৮। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত আট হাজার ২২৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং তিন হাজার দুই জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৭৮ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিন জন, চল্লিশোর্ধ্ব সাত জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৩ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে ছয় জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, সিলেট বিভাগে তিন জন ও ময়মনিসিংহ বিভাগে দুই জন।