সত্যজিৎ জন্মশতবর্ষ: গুণীজনদের শ্রদ্ধা আয়োজন

কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- এরকম বহু পরিচয়ে যাকে চিহ্নিত করা হয়, তিনি সত্যজিৎ রায়। শুধু বাংলা ভাষাভাষি কিংবা উপমহাদেশের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয় তার সৃষ্টিকর্ম। বিশেষত চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে সারা বিশ্বেই সমাদৃত তিনি।

গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্মশতবর্ষ রবিবার (২ মে)। বিশেষ এই দিনটিকে সামনে রেখে ওয়েবিনারের (অন্তর্জালভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান) ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ।

করোনাকালের এই ভয়াবহ সময়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম দিকপাল চলচ্চিত্রস্রষ্ঠা সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে ওয়েবিনারটি রবিবার (২ মে) রাত সাড়ে ন’টায় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এর ফেসবুকে দেখতে পারবেন দর্শক।

অনুষ্ঠানে সত্যজিৎকে স্মরণ করবেন ‘ঘুড্ডি’ খ্যাত গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা সালাহউদ্দিন জাকী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র শিক্ষক ও সমালোচক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং চলচ্চিত্র সমালোচক মাহমুদুল হোসেন।

শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ও স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমী। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় থাকবেন বেলায়েত হোসেন মামুন।

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়। তাঁর পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, সাহিত্যিক, সংগীত পরিচালক, গীতিকার হিসেবে তিনি পরিচিত।

‘পথের পাঁচালি’ সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পে সত্যজিৎ রায়ের যাত্রা শুরু। এরপর একে একে নির্মাণ করেন পরশ পাথর , জলসা ঘর, অপুর সংসার, অভিযান, মহানগর, কাপুরুষ ও মহাপুরুষ , নায়ক, গুপি গাইন বাঘা বাইন, অরণ্যের দিন রাত্রি, সীমাবদ্ধ, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, জন অরণ্য, শতরঞ্জ কি খিলাড়ী, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গণ শত্রু, শাখা প্রশাখা এবং সর্বশেষ বানানো সত্যজিতের সিনেমার নাম আগুন্তুক।