দেশের প্রথম শিশুতোষ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘টুমরো’। টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্তর জন্য তৈরি এ ছবিটি মুক্তির পর এর চরিত্রগুলো বিদেশেও বেশ প্রশংসিত হয়। এখন পর্যন্ত পাঁচটি উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন হয়েছে ছবিটি।
তবে মজার বিষয় হলো, ছবিটি প্রদর্শনীর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ২৭০টি উৎসব থেকে আমন্ত্রণ এসেছে। এটিও বড় খবর নয়, খবরটি হলো এই আমন্ত্রণগুলো এসেছে চলতি আগস্টের ১০ দিনে!
তিনি জানান, প্রথমে কয়েকটি উৎসবে মেইল পাঠানোর পর ও ইউটিউবে ইন্টারন্যাশনাল সংস্করণে ‘টুমরো’ থাকাতে অন্য আয়োজকরাও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ছবিটিকে। তবে এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হবে বলে শিহাব জানালেন।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে হাজারও ধরনের উৎসব হয়। মাসিক, ত্রৈমাসিক, বাৎসরিক- এমন। তাই এত আমন্ত্রণ পেলেও আমাদের যাচাই-বাছাই করা দরকার। আমরা চাচ্ছি, বাংলা অ্যানিমেশন যেন পৃথিবীর নানা জাতির লোকেরাও দেখেন।’
শিশুতোষ এ ছবিটি প্রযোজনা করছে দীপ্ত টিভি। কাজী জাহিন হাসান ও কাজী জিসান হাসানের প্রযোজনায় এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন যৌথভাবে নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক। চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে সাইকোর স্টুডিওতে।
এতে দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ; ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ংকর। সেই ভয়ংকর ভবিষ্যৎকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। যে রাতুল এতদিন প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেছে সেই রাতুলই এবার ভার নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলাবার।