পেনাল্টিতে জিতলো আবাহনী

ডিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। এমেরি বাইসেঙ্গে গোল করে তা বাস্তবেও ‍রূপ দিতে চাইলেন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েল্তন গোমেজ আর কোস্টারিকান দানিয়েল কলিনদ্রেসের নৈপুণ্যে মুহূর্তেই মিলিয়ে গেছে সাইফ স্পোর্টিংয়ের স্বপ্ন। তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে আবাহনী লিমিটেড।

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েও ৩-২ গোলে ম্যাচ হেরেছিল আবাহনী। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়ালো নাবীব নেওয়াজ জীবন-জুয়েল রানারা।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর খেলা জমে উঠে দ্বিতীয়ার্ধে। এই অর্ধেই এসেছে তিনটি গোল। ৬৯ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিকে গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল বলের নাগাল পাননি। ওই সুযোগে অন্য প্রান্তে হেড করে সাইফকে এগিয়ে নেন এমেরি বাইসেঙ্গে। এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর মরিয়া হয়ে উঠে আবাহনী। মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েল্তন গোমেজ। তাতে আক্রমণে ধারও বাড়ে তাদের। এর কিছুক্ষণ পর বক্সের ভেতরে থেকে কলিনদ্রেস ডান পায়ের শট নিলেও ক্রস বারে লেগে তা ফিরে আসে। তবে ৭৫ মিনিটে দুই বিদেশির সমন্বয়েই স্কোরলাইন ১-১ করেছে আবাহনী। কলিনদ্রেসের অ্যাসিস্টে লক্ষ্যভেদ করেছেন বদলি হয়ে নামা দোরিয়েল্তন।

সমতা ফেরানোর পর গোলক্ষুধা যেন আরও বেড়ে যায় আবাহনীর। যোগ করা সময়ে এবার জয়সূচক গোলটি করেন কলিনদ্রেস। অবশ্য এর জন্য দায় সাইফেরই! বক্সের ভেতরে কলিনদ্রেসকে ট্যাকল করেছিলেন এমেরি বাইসেঙ্গে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি দিলে স্পট কিক থেকে কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড সহজেই জালে বল জড়িয়েছেন। তাতে তিন পয়েন্টও নিশ্চিত হয়েছে আবাহনীর। ৭ ম্যাচে ৫ম জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। সাইফ স্পোর্টিং তৃতীয় হারে আগের ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে।