সাড়ে তিন কোটি টাকার নকল প্রসাধনী জব্দ, ৭ দোকান সিলগালা, ৫ জনের জেল

‘বিভিন্ন ব্যান্ডের বিদেশি প্রসাধনী নকল করে তৈরির অভিযোগে রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবারের এই অভিযানে তাকওয়া এন্টারপ্রাইজের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নকল বিদেশি কসমেটিকস জব্দ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

র‍্যাব-১০ ও বিএসটিআইয়ের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘র‍্যাব এবং বিএসটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে দুপুর থেকে চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মালিকসহ সাইফুদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল আলিম নকির, মো. আরমান, শেখ সাউদুল ইসলাম ও খায়ের হোসেনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া তাঁদের মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়। তাঁদের চারটি দোকান ও তিনটি শো-রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

র‍্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ‘মানুষের প্রসাধনীর চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে নকল কসমেটিকস দিয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।

আমরা দেখছি- তিন ক্যাটাগরিতে তারা নকল করে থাকে। চায়না থেকে শুধু পণ্যের খালি বোতল আমদানি করে। এরপর নিজেরাই বিভিন্ন কোম্পানির নামে পণ্য বানায়।

সর্বশেষ তারা বাজার থেকে ব্যবহৃত পণ্যের খালি বোতল কিনে এনে ওয়াশ করে নকল পণ্য ভরে আবার বাজারে বিক্রি করে।’

সারওয়ার আলম আরো বলেন, ‘তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের ব্যবহার্য্য জনসন বেবী লোশন, বেবী স্যম্পু, জনসন পাউডার, ইউনিলিভারের পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলিসহ ৩২  ধরনের প্রসাধন সামগ্রী নকল উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয় করছে। যেসব পণ্য আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এ ছাড়া সোয়ারীঘাট এলাকার  ৬/১০ চম্পাটুলি লেন এলাকায় নকল কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক বাসারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।,