প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত

‘নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করে তিনি এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। নরওয়ের রাজনীতিবিদ টাইব্রিং জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।

সূত্র ঃ বিবিসি

নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‌‘আমি মনে করি ট্রাম্প শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন।’

টাইব্রিং দাবি করেন, ট্রাম্প পৃথিবীর অনেক দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। সামনের বছর পুরস্কারটির জন্য তারই বিবেচিত হওয়া উচিত।

গত ১১ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।

নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া। প্রতি বছর অক্টোবরে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।

২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সংঘাত নিরসনের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখার কারণে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে।

চলতি বছরের শুরুতে ইরানের সেনা প্রধান কাশেম সুলেমানিকে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করে। সেই খবর দর্পের সঙ্গে ট্রাম্প নিজেই দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ইরান-আমেরিকা কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। ইরানের তরফে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ হয়।

সেই সমস্ত পরিস্থিতির পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সম্মান পান কী না সেদিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্ব।,