পদ্মা সেতুর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

‘পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ শতাংশেরও বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি শুক্রবার সকালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনাসভায় এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

পদ্মায় এ পর্যন্ত ৪১ স্প্যানের মধ্যে ৩১টি বসানো হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৃশ্যমান হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার। তিনি বলেন, ৪২ পিয়ারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং নদীশাসনের কাজ প্রায় ৮৪ শতাংশ শেষ হয়েছে।

মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও টোল প্লাজার কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মুক্ত করবেন যানচলাচলের জন্য।

এ সময় ভার্চুয়াল প্লাটফরমে উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইনের সংশোধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনবিষয়ক বিষয়াদি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, এ বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের কোনো বক্তব্য থাকলে সরকারও নির্বাচন কমিশনকে জানাবে।

মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে ভবিষ্যতেও সংবিধান অনুযায়ী সরকার সহযোগিতা করবে, এটি সরকারের সাংগঠনিক দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন, যার মধ্যে বিএনপির প্রতিনিধিও ছিল।

তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনে বিএনপিসমর্থিত প্রতিনিধি আছে, বিএনপির আমলে কমিশন গঠনে কখনও আওয়ামী লীগের নাম নেয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশন গঠন কিংবা বাতিলের এখতিয়ার সরকারের নয়, সময় হলেই রাষ্ট্রপতি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতো, আর পরাজিত হলে বলে কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে।,