পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়ায় পাকিস্তানে দুজনের মৃত্যুদণ্ড

‘পোশাক কারখানায় আগুন লাগানোর দায়ে দুই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। এ ছাড়া কারখানাটির চার নিরাপত্তাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্য মতে, পোশাক কারখানাটির মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করেছিল অপরাধীরা। চাঁদা না পেয়ে কারখানাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় ২৬৪ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৭ জনের দেহ এত বেশি পুড়ে গিয়েছিল যে তাঁদের আর শনাক্ত করাই সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলনের (এমকিউএম) নেতা এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রাদেশিক মন্ত্রী রউফ সিদ্দিকী, বলদিয়া শহরে এমকিউএমের তৎকালীন সেক্টর ইনচার্জ আব্দুল রেহমান, জুবাইর, ব্যবসায়ী আব্দুল সাত্তার খান, গার্মেন্টসের চার দারোয়ানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

কারখানাটির মালিক ২৫ কোটি রুপি ‘প্রোটেকশন মানি’ না দেওয়ায় এমকিউএমের করাচি তানজিমি কমিটির তৎকালীন প্রধান হাম্মাদ সিদ্দিকীর নির্দেশে অভিযুক্তরা বহুতল ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

বর্বরোচিত এ ঘটনার স্বঘোষিত অপরাধী হাম্মাদ এবং ব্যবসায়ী আলি হাসান কাদরি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার জুবাইর ওরফে চার্য এবং রেহমান ওরফে ভোলাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। অগ্নিসংযোগে সহযোগিতার অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে চার দারোয়ানকেও।

তবে আসামিদের মধ্যে প্রভাবশালী রউফ সিদ্দিকী, ইকবাল আদিল খানুম এবং আব্দুল সাত্তার খানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।,