ভিসার মেয়াদ বাড়াতে সৌদি দূতাবাসে প্রবাসীদের বিড়ম্বনার শিকার

‘ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পদে পদে লাঞ্ছনা আর বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে সৌদি প্রবাসীদের। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গুলশানে সৌদি কনস্যুলেটে ভিড় করতে থাকেন তারা। তবে আবেদন সরাসরি নিচ্ছে না সৌদি দূতাবাস।

এজেন্সি হয়ে আবেদনের পরামর্শে সড়ক থেকে সরে যান তারা। তবে গুলশান ২ নম্বরে ভিসা প্রসেসিং কনসালটেন্সিগুলোতে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না উল্টো দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রবাসীদের।

পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষণা ছিল, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকেই বাড়ানো হবে সৌদি ভিসার মেয়াদ। যোগাযোগ করতে হবে গুলশানের সৌদি কনস্যুলেটে। সে অনুযায়ী ভোর থেকেই দূতাবাসের সামনে ভিড় করতে থাকেন সৌদি প্রবাসীরা। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় দূতাবাসের আশপাশের সড়ক।

কিন্তু সময় গড়ালেও দূতাবাসে ঢোকার অনুমতি মেলেনি। চাকরি বাঁচাতে মরিয়া প্রবাসীদের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জানায়, দূতাবাস কোনো আবেদন গ্রহণ করবে না, আবেদন জমা দিতে হবে অনুমোদিত কনসালটেন্সিগুলোতে।

প্রবাসীরা বলছেন, চারদিন ধরে এখানে বলছে টোকেন দিবে কিন্তু দেওয়ার কিছু নাই। আজকে চারদিন হয়েছে এখানে আসছি। তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করছে। আমরা আসছি সেখানে আকামা ও রিনিউ এর ব্যাপারে কথা বলার জন্য বা কি সিস্টেম সেটা জানার জন্য কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ আমরা যেন সৌদি যেতে পারি।

এদিকে পুলিশ বলছে, সৌদি দূতাবাস তাদের অথরাইজড সেটারের মাধ্যমে তাদের ভিসা বর্ধিত করার ব্যবস্থা করেছে। এই প্রক্রিয়ার সবার মেনে চলার অনুরোধ করছি।

পরে নিরুপায় প্রবাসীরা যোগাযোগের চেষ্টা করে কনসালটেন্সিগুলোতে। এতেও কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় কাজে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় সৌদি প্রবাসীরা।

প্রবাসীরা বলছে, আমাদের যে আজকে লিস্টটা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই লিস্টের মাধ্যমে যাই তাহলে বাংলাদেশি দালাল আমাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবে। ভোর ৫টা থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুড়াহুড়ি পাড়াপাড়ি করলাম আর কিছু করতে পারিনি। অনেক এজেন্ট এর কাছে ফোন দেওয়া হয়েছে তার বলছে এরকম কোন মেসেজ আসেনি আমাদের কাছে।

বিশৃঙ্খল এ পরিস্থিতির সুযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে দালাল চক্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সামনেই নামে বেনামে কাগজ বিক্রি করতে দেখা যায় প্রবাসীদের কাছে।

একজন বলছে, স্যার আমাদের ফটকপি করার জন্য দিছে আমি কোনো টাকা নেয়নি।

পুলিশকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলে, আপনি যে লোকটাকে আবার বললেন নিয়ে আসার জন্য, আপনি কি জানেন এই কাগজটাতে কী আছে? সে সবার কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিছিল, আর এ কাগজ তো অর্থহীন। এটা ১ টাকার একটা কাগজ ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেন? তখন পুলিশ বলে আমি তাকে ধরছি এটা কেন করছে।

সৌদি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে আসা প্রবাসীরা কী করবেন, তা জানতে দূতাবাসে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।,