করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ নিয়ন্ত্রণে নেদারল্যান্ডে নতুন নিয়ম

‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে নেদারল্যান্ডের অনেক বাসিন্দাকে প্রথমবারের মতো দোকানে যেতে হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে নেদারল্যান্ডে এখনো পর্যন্ত কোনো কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।

সূত্র : বিবিসি

১ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এখন প্রতিদিনই ৩০০০ করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার থেকে নতুন সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এসব চলমান থাকবে ৩ সপ্তাহ।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি জং বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, ভাইরাসটিও তার সর্বোচ্চ করছে।

মঙ্গলবার থেকে দেশটির তিন শহরের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ করতে নিষেধকরা হয়েছে। রাত দশটার মধ্যেই রেস্টুরেন্ট ও বার বন্ধ করে দিতে হবে। যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্সে একই সময়ে এসব বন্ধ করতে বলা হচ্ছে।

নতুন নিয়মে বাড়ি থেকেই সবাইকে কাজ করতে বলা হচ্ছে এমনকি বাড়ির ভেতরেও সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তিনজনের বেশি থাকতে পারবে না। কোনো খেলার আয়োজনে ভক্তরা উপস্থিত হতে পারবে না।

গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকই রয়েছে এখন থেকে দোকানে গেলেও মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরা না থাকলে কাউকে দোকানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত, প্রাণ হারিয়েছে ১০ লাখ ৬ হাজারের বেশি। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ২ কোটি ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ৮শ ২৯ জন। একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে ভারতে, ৬৯ হাজারেরও বেশি। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ হাজার মানুষ, মোট আক্রান্ত ৭৩ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার মানুষ, মোট আক্রান্ত ৪৭ লোখেরও বেশি।

একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে ভারতে, ৭৭৭ জন। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ৯৬ হাজার। যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিলে একদিনে প্রাণ হারিয়েছে ৩ জনেরও বেশি মানুষ।  যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে আর ব্রাজিলে মোট মৃত ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি।