‘হঠাৎ করেই হাসপাতাল ছেড়ে সমর্থকদের মাঝে চলে এসেছিলেন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র : বিবিসি
একটি কালো গাড়িতে চেপে সামাজিক দূরত্ব মেনে সমর্থকদেরকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। এরপর আবার হাসপাতালে ফিরে যান তিনি।
মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাম্পকে ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক শন কনলি।
ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে গতকাল রোববার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
গত শুক্রবার করোনা শনাক্তের কয়েকঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শন কনলি জানান, ট্রাম্প খুব ভালো আছেন; তার অক্সিজেন লেভেল দুবার নিচে নেমে গেলেও বর্তমানে তা স্বাভাবিক আছে। সোমবার যেকোনো সময় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
“ট্রাম্প স্টেরয়েড থেরাপিতে আছেন। তাকে রেজনারনের অ্যান্টিবডি ককটেলের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে।
তবে সামনের কয়েকদিন ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে এই বিষয়ে কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রেসিডেন্টকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে।”
আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় কাজ করছে অনেকের মনে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন প্রেসিডেন্ট নিজে করতে পারবেন না। সেটা করতে পারেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।”
করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠতে যদি ট্রাম্পের সময় লাগে এবং সেটা ৩ নভেম্বর ছাড়িয়ে যায় তাহলে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুরে।,