গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২০জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

‘দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২১৪তম দিনে নতুন করে মারা গেছেন ৩৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০ জন। এর আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭ জন। 

সূত্র : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নতুন করে দেশে ১ হাজার ৫২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৮ জন।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

নতুন করে ১৩ হাজার ৮৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩২টি। এ নিয়ে দেশে মোট ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৫২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৪৪০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৪৬ শতাংশ।

তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৯৮ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ২০০ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৭ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ১ হাজার ২৪০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ০ থেকে ১০ বয়সী ১ জন, ১১ থেকে ২০ বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বয়সী ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২২ জন রয়েছেন।

বিভাগ অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ কোটি ৭১ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহনও।,