রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৪

‘কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

তবে ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংকিত অনেকে ক্যাম্প এলাকা ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

ঘটনায় নিহত গিয়াস উদ্দিন স্থানীয় মুন্না বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ মুন্নার বড় ভাই। তবে নিহত অন্য ৩ জন এবং আহতদের নাম ও পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

রফিকুল বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা চলছে। তারই ধারাবাহিকতা গত ৪ ও ৫ অক্টোবর ৩ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের চাকমারকূল ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ৯ জন রোহিঙ্গাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুতুপালং ক্যাম্প -১ এ রোহিঙ্গাদের দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন: নিহতদের মধ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ এবং ১ জনের গলাকাটা মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। আহতদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকসহ উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে রফিকুল বলেন: ঘটনায় আতংকিত রোহিঙ্গাদের অনেকে ঘটনাস্থলের ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয়রা জানিয়েছে, অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুন্না বাহিনী ও রফিক বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।,