ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেফতার সম্রাটকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে

‘এক বছর আগে অর্থাৎ গত বছরের ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গ্রেপ্তারের পর সেদিন বিকেলে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় বন্যপ্রাণী আইনে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারপর থেকে প্রায় ১১ মাস হাসপাতালে ছিলেন সম্রাট।

জেলার বলেন, ‘গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা সম্রাটকে ছাড়পত্র দেন। পরে হাসপাতাল থেকে তাকে রাতে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনা হলেও তাঁকে কারাগারের ভেতরে কারা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। কারণ, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের সাজায় কারাগারে নেওয়ার দুদিন পর বুকে ব্যথা অনুভব করলে সম্রাটকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চার দিন থাকার পর সমালোচনার মুখে ১২ অক্টোবর আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয় সম্রাটকে।

এরপর গত বছরের ২৪ নভেম্বর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের চিকিৎসক সম্রাটের বুকে ব্যথার কথা জানিয়ে তাঁকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তারপর থেকে সম্রাট টানা সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ ঘোষ।,