রায়হানের বাড়িতে গিয়ে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন

‘সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন আহমদের (৩৩) বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য এ হত্যার ন্যায়বিচারে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় জেলা প্রশাসক কাজী মো. এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন আহমদকে (৩৩) গত ১০ অক্টোবর রাতে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে।

পরের দিন ১১ অক্টোবর সকালে তাঁর লাশ পায় পরিবার। পরে ওই দিন রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। স্বজনদের অভিযোগ, ১০ হাজার টাকা না পেয়ে রায়হানকে পুলিশ হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর ১২ অক্টোবর ওই ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রত্যাহার করা হয় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে। এসআই আকবর এখন পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো রকম তথ্য পান তাহলে পুলিশকে জানান। কালকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। কেউ তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। এটারও তদন্ত হচ্ছে। সুতরাং কেউ ছাড় পাবে না। এমসি কলেজের ঘটনায় সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানেও যারা সম্পৃক্ত ছিল শুধু একজন এসআই আকবর ছাড়া সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মামলা মামলার নিয়মে চলবে। পুলিশ আকবরের বাড়িতেও নজর রাখছে। যেখানে তাঁকে পাওয়া যাবে ধরা হবে। এ ঘটনাকে নিয়ে কোনো কোনো মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তাদের প্রশ্রয় দিবেন না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রায়হানের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ প্রতিবাদ-বিক্ষোভে থাকা সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।,