আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা করে বাড়িয়ে দিল সরকার

‘অব্যাহত দাম বৃদ্ধি রোধে খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য প্রতি কেজি আলুর দাম এবার আরো পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ দাম নির্ধারণ করে দেন। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ৩০ টাকা এবং হিমাঘারে ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের আলুর পাইকার ও আড়তদাররা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর প্রতি কেজি আলুর দাম কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। এই দামের বিষয়ে আপত্তি জানায় আলু ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে বাজার থেকে আলু উধাও হয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নতুন করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আলুর দাম পুনরায় নির্ধারণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। এ সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আগের বছর কৃষকরা আলুর দাম পায়নি।

সরকার চেষ্টা করেও দাম বাড়াতে পারেনি। এতে আলু চাষের এলাকা কমেছে। উৎপাদনও কিছু কম হয়েছে। আমাদের এবার লক্ষ্য ছিল আলুর দাম বাড়ানোর জন্য। দাম বাড়াতে গিয়ে এমন একটা বিপর্যয়কর অবস্থা হবে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, রিকশাওয়ালা-ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এত দাম চিন্তাই করা যায় না। ৫০ টাকা কিংবা এরও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।’

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সবসময়ই মুনাফার দিকে থাকে। তারা দেখছে, এবার আলু দেরিতে আসবে। এজন্য তারা আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। খোলা বাজার অর্থনীতি, আমরা তো ওইভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা মনিটর করতে পারি, চাপ দিতে পারি। অস্বাভাবিক কিছু একটা করলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।,