বেলুড় মঠে মহাষ্টমীর কুমারী পুজোয় কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক না থাকা নিয়ে শনিবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নেটাগরিকদের একাংশ। পুজোয় অংশ-নেওয়া বাকি সকলে মাস্ক পরলেও দেবীরূপে পূজিতা শিশুকন্যার মুখ ছিল নিরাবরণ। তা নিয়ে এ দিন সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা শুরু হয়। সঙ্গে উদ্বেগ। তবে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এতে কোনও ভুল দেখছেন না। মঠের দাবি, যাঁকে ‘চিন্ময়ী মা’ হিসেবে পুজো করা হয়েছে, তাঁকে মাস্ক পরানো দরকার বলে মনে হয়নি। তবে বিধিসম্মত সতর্কতা অবলম্বন করে আগেই কুমারী মায়ের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই পুজোর আয়োজন হয়। মঠের বক্তব্য, মাস্ক নয়, করোনা পরীক্ষাই প্রধান। সেটা করা হয়েছে।
বেলুড় মঠের পুজোয় বড় আকর্ষণ অষ্টমীর কুমারী পুজো। অন্যান্যবার সেই পুজো দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে সে দৃশ্য ছিল না। পরিকল্পনা মতোই পুজোর কাজে নিযুক্ত সন্ন্যাসীরা ছাড়া কেউই পূজাস্থলের কাছাকাছি যাননি। কুমারী পুজোও বড় মণ্ডপ বেঁধে হয়নি।
কুমারী মায়ের মুখে মাস্ক থাকলে কি সমাজকে এই সঙ্কটসময়ে একটা বার্তা দেওয়া যেত না? সুবীরানন্দজির জবাব, ‘‘আমরা বার্তা দিতে চাই না। আমরা বিজ্ঞানে বিশ্বাস করি। বিজ্ঞান বলছে, পরীক্ষা করাও। সারা পৃথিবীতে বলা হচ্ছে, যত বেশি পরীক্ষা হবে, তত বেশি রোগীকে শনাক্ত করা যাবে। এটাই করোনা রোখার একমাত্র উপায়। বেলুড় মঠে ১০০ শতাংশের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। আর বার্তা দেওয়া আমাদের কাজ নয়। আমরা সামাজিক প্রতিষ্ঠান নই। আমরা আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান। বিজ্ঞানের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন দরকার। মাস্কের থেকে বেশি বৈজ্ঞানিক করোনা পরীক্ষা। তাতেই আমরা বেশি জোর দিয়েছি।’’