ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে কুষ্টিয়ায় নিহত ৫

কুষ্টিয়ায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। হতাহত সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার বিত্তিপাড়ায় লক্ষ্মীপুর-নিয়ত মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত কারো নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

নিহতরা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার মশাগুনি গ্রামের শফি উদ্দিন মোল্লার ছেলে টিপু সুলতান (৩৫), আব্দুস সাত্তারের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৩৮), মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী আরবী বেগম (৩২), তাদের ছেলে ইফাত (১৫) এবং যশোর কোতোয়ালি থানার বিরামপুর এলাকার কাশেম আলী শেখের ছেলে আলীম হোসেন (২৭)।  এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন কাশেম আলীর ছেলের ইনসান আলী।

সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে থাকা মরদেহগুলো শনাক্ত করেন নিহত আরবী বেগমের খালাতো ভাই স্বপনসহ অন্য স্বজনেরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান জানান, পাবনার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে আরবী বেগম নামে এক মানসিক রোগীকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে নড়াইল যাচ্ছিলেন। ইফাত নামের যাত্রীবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি পথে বিত্তিপাড়ায় একটি মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সটির চালক টিপু সুলতান, রোগী আরবী বেগম, আরবীর স্বজন মফিজ উদ্দিন, ইফাত ও আলী আহম্মদ নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত হন ইনসান আলী। এ অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনকে জীবিত উদ্ধার করি। সংঘর্ষের ফলে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।

কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ওয়াহিদ জানান, দুর্ঘটনা ঘটার ফলে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এক ঘণ্টার মধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।  তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ও চালকের সহকারী পালিয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহতদের স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে যান কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম।