আলভেজ চান বার্সার স্টেডিয়াম হোক মেসির নামে

ক্লাবের মতোই বিশাল লিওনেল মেসির মর্যাদা, এমন মন্তব্য করে আর্জেন্টাইন মহাতারকার নামে বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পকে নামকরণের দাবি তুলেছেন দানি আলভেজ। সাবেক ক্লাবকে সমালোচনায় ধুয়ে দিলেও মেসিকে বার্সাতেই থেকে যেতে বলেছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

২০০৮ সালে বার্সায় যোগ দেয়ার পর রক্ষণের ডানপ্রান্ত দিয়ে মেসির গোলের সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছিলেন আলভেজ। আট মৌসুমে বার্সার হয়ে যে ১০১ গোলে প্রত্যক্ষ অবদান ছিল সেলেসাও রাইটব্যাকের, তার বেশিরভাগই করিয়েছেন মেসিকে দিয়ে। একইভাবে তার ২১ গোলের বেশিরভাগের উৎসও ছিলেন মেসি।

বার্সার হয়ে ছয় লা লিগা, তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ২৩টি শিরোপা জিতেছেন আলভেজ। ছিলেন সেসময়ের সেরা রাইটব্যাক। তারপরও বার্সায় তার বিদায়টা মধুর হয়নি। ২০১৫ সালে চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় স্পেন ছেড়ে ইতালির জুভেন্টাসে পাড়ি জমান। তার ছেড়ে যাওয়া রক্ষণের ডানপ্রান্তে এখনও যোগ্য বিকল্প খুঁজে পায়নি বার্সা।

চলতি মৌসুমের পর মেসি বার্সায় আরেকটা বছর খেলবেন কিনা সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে লজ্জার হারের পর বার্সা ছাড়তে চেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ক্লাবের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়াতে চাননি বলে আরেকটা মৌসুম থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বার্সার সঙ্গে বর্তমান চুক্তির আর মাত্র ৮ মাস বাকি আছে ৩৩ বছর বয়সী তারকার।

নিজের বিদায়টা সুখের না হলেও সাবেক সতীর্থকে বার্সায় থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বর্তমানে সাও পাওলোতে খেলা আলভেজ। রেডিও রেসওয়ানের মাধ্যমে দাবি তুলেছেন, মেসির নামে ন্যু ক্যাম্পের নামকরণের।

‘আমি তাকে বলেছি বার্সা না ছাড়তে। যখন বার্সা আমাকে তাড়াতে চাইছিল তখন সে আমাকে বলেছিল, যেও না। এখানের চেয়ে আর কোথায় ভালো পাবে তুমি? আমিও তাকে একই কথা বলেছি, সে উত্তর দেয়নি, তবে জানি বার্তাটা সে পেয়েছে।’

‘মেসি বার্সার প্রতীকের মতোই মহান। তবে তার আশেপাশে যারা আছে তারা একেকজন যেন বিপর্যয়। বোঝা যাচ্ছে যে সে কেনো বার্সা ছাড়তে চায়।’

‘সে বার্সার হয়ে অনেক করেছে, তাই তার নামে বার্সার স্টেডিয়ামের নামকরণ করা উচিৎ।’

২০১৫ সালে জুভেন্টাসে পাড়ি জমালেও পরের বছরই বার্সায় ফেরত আসতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী আলভেজ। বার্সা কর্মকর্তাদের হীনমন্যতার কারণে সেটা হয়নি বলে সাবেক ক্লাবকে কথার তোপে ছিন্নভিন্ন করেছেন।

‘বার্সাকে আমি ফেরত আসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। প্রমাণ করার জন্য জুভেন্টাসে গিয়েছিলাম যে এখনো নিজের সেরাটা দেয়ার মতো সামর্থ্য আমার আছে।’

‘চেয়েছিলাম বার্সায় ফেরত আসতে, কারণ তখন তাদের আমাকে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাদের এটা বলার সাহস ছিল না যে, তারা আমার ব্যাপারে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার যা প্রাপ্য তখন যদি আমাকে দেয়া হতো, তাহলে আজ পর্যন্ত বার্সাতেই থাকতাম। ক্লাবটাকে আমি ভালোবাসি।