চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে নেপাল, প্রস্তুত বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচের বাধা অনায়াসে উতরে গেছে বাংলাদেশ। নাবীজ নেওয়াজ জীবন ও মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে নেপালকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটিতেও জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে নেপালও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। জয় নিয়েই ঢাকা ছাড়তে চায় তারা। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ম্যাচটি তাই উত্তেজনার বাড়তি রসদ জোগাচ্ছে। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও টি স্পোর্টসে।

নেপাল প্রথম ম্যাচ হারায় নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিরিজে ফিরতে যে তারা আরও শক্তিশালী হয়ে আঘাত হানতে পারে, বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ বলেছেন, ‘গেম ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিতে চাই আমরা। আগের ম্যাচে আমরা প্রথমার্ধেই ৩-৪ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম। সেটা হলে দ্বিতীয়ার্ধ আরও সহজ হয়ে যেত। আগের ম্যাচে মন্দের চেয়ে আমাদের ভালো দিকগুলোই বেশি ছিল। তবে আমি নিশ্চিত, এবার নেপাল আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামবে। আমাদের সেভাবেই খেলতে হবে।

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসায় মঙ্গলবারের ম্যাচে থাকছেন না প্রধান কোচ জেমি ডে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও তিনি পজিটিভ আসায় ডাগ আউটে দাঁড়াবেন ওয়াটকিস। ফল পাওয়ার আগে অবশ্য জেমিকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন এই ইংলিশ কোচ, ‘অদ্ভুত এক পরিস্থিতির ভেতর আছি আমরা। যদিও আশা করছি, জেমির দ্বিতীয় টেস্টের ফল নেগেটিভ আসবে এবং আবার দলের সঙ্গে যোগ দেবে। ফুটবলে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তবে এর মধ্যেও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হয়।

দলের প্রস্তুতি নিয়ে ওয়াটকিসের ব্যাখ্যা, ‘প্রস্তুতিতে তেমন ভিন্নতা নেই। আমি আর জেমি বাংলাদেশে আসার পর প্রতি ম্যাচে যেমন প্রস্তুতি নিয়েছি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শেষ দুই দিনে জেমি আমার মাধ্যমেই যোগাযোগ করেছে। ট্রেনিং সেশন কেমন হবে, আমরা কোন ব্যাপারগুলো মনোযোগ দেবো- এসব নিয়ে কথা হয়েছে তখন। এছাড়া বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।’

নেপাল দলের প্রধান কোচ বালগোপাল মহারজনের কাছে এই ম্যাচটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচ হারায় শেষটি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য তার। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে নেপাল কোচ, ‘প্রথম ম্যাচের পরের তিন দিন আমরা দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি। ভালো পারফরম্যান্সের দিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। প্রথম ম্যাচের হার থেকে আমরা কিছু শিখেছি। ডিফেন্ডিং থার্ডে আমরা কিছু ভুল করে গোল খেয়েছিলাম। আশা করি, আগামীকাল পুরো দল ভালো খেলবে। ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে ভালো খেলবে। আগামীকাল ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার জন্য দল প্রস্তুত।

নেপাল ঢাকায় আসার আগে তাদের ৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন। তাদের ছাড়াই আসতে হয়েছিল। ঢাকায় এসে ডিফিন্ডার রনজিৎ ধিমাল করোনায় আক্রান্ত হন। তবে আশার কথা রনজিৎ সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফিরেছেন। তাকে শেষ ম্যাচে দেখার সম্ভাবনা আছে। বালগোপাল আশাবাদী, ‘রনজিৎ ধিমাল করোনাভাইরাস নেগেটিভ হয়ে ফিরেছে। আমি মনে করি, তার ফেরাটা দলের জন্য ভালো অনুপ্রেরণার হবে। দল উপকৃত হবে। আমরা আগামীকালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।,