ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সমাহিত করা হয়েছে। এসময় তার কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধু উপস্থিত ছিল।
সূত্র : বিবিসি
তাকে সমাহিত করার আগে সারাদিনই রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
এসময় রাজধানী-জুড়ে এক আবেগ-ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় কেউ কাঁদছিলেন, কেউবা তার জন্য দুহাত তুলে প্রার্থনা করছিলেন।
গত বুধবার ৬০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ম্যারাডোনা।
- ১৯৬০দিয়েগো আর্মান্দোর জন্ম বুয়েনাস আয়ার্সের লানুসে। ১৯৭৬ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়ার্সের হয়ে পেশাদার খেলার শুরু।
- ১৯৭৯প্রথম বিশ্বকাপ বিজয় আর্জেন্টিনার আন্ডার-টোয়েন্টি টিমের সাথে খেলে
- ১৯৮৬মেক্সিকোতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার বিখ্যাত “হ্যান্ড অফ গড” গোল। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়
- ১৯৯৭৩৭ বছরের জন্মদিনে পেশাদার খেলোয়াড় থেকে অবসরগ্রহণ
- ২০০০ফিফার শতাব্দী সেরা খেলোয়াড় খেতাবে ভূষিত
- ২০০৮দুবছরের জন্য আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ নিযুক্ত, নভেম্বর ২০২০তে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন দলের ম্যানেজার ছিলেন।
ম্যারাডোনার মৃত্যু বিশ্বজুড়ে শোকের আবহ সৃষ্টি করেছে।
তবে তার দেশ আর্জেন্টিনায় সেই শোক আরো বেশি অনুভূত হয়েছে।
আর্জেন্টিনার মানুষ ম্যারাডোনাকে জাতীয় বীর মনে করে।
ম্যারাডোনার মরদেহ যে কফিনে রাখা হয়েছিল সেটিকে আর্জেন্টিনার পতাকা এবং ১০ নম্বর জার্সি দিয়ে ঢেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে রাখা হয়েছিল জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আসলে এক পর্যায়ে মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ হয়।
শোকার্ত মানুষ যখন কফিনের কাছে আসতে চেয়েছিল তখন তাদের সামাল দিতে পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুঁড়েছে।
একপর্যায়ে ম্যারাডোনার কফিন জনসম্মুখে যে জায়গায় রাখা হয়েছিল সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
এরপর মোটর শোভাযাত্রায় ম্যারাডোনার মরদেহ বুয়েনোস আইরেস শহরের উপকণ্ঠে বেল্লা ভিস্তায় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে ম্যারাডোনাকে অন্তিম শয়ানে রাখা হয়।