ষষ্ঠ দিনে ভ্যাকসিন নিলেন প্রায় ২ লাখ মানুষ

দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ষষ্ঠ দিনে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ২৭ হাজার ৪৩ জন ও নারী ৬৭ হাজার ৩২৮ জন ভ্যাকসিন নেন।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৬ হাজার ৫৬৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৬৫৩ জন ও নারী আট হাজার ৯১১ জন ভ্যাকসিন নেন।

ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৫ হাজার ৪৩০ জন ও নারী ১৮ হাজার ৬৩৯ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে আট হাজার ৯০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ১৬৪ ও নারী দুই হাজার ৯২৬ জন।

চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ হাজার ৭১৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ৩১ হাজার ১৩০ জন ও নারী ১৬ হাজার ৫৮৮ জন ভ্যাকসিন নেন।

রাজশাহী বিভাগে ২২ হাজার ৭৪ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৪৫৩ জন ও নারী সাত হাজার ৬২১ জন।

রংপুর বিভাগে ১৭ হাজার ৫৪২ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৬৬৯ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৮৭৩ জন।খুলনা বিভাগে ২১ হাজার ২৭৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ১৪৪ ও নারী সাত হাজার ১৩৪ জন।

বরিশাল বিভাগে সাত হাজার ৫১৩ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৯৪৩ জন ও নারী দুই হাজার ৫৭০ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ৮৭ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১১০ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৯৭৭।

এ পর্যন্ত মোট টিকা গ্রহিতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৩৬ হাজার ৬৮০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৬২১ এবং নারী দুই লাখ ২৩ হাজার ৫৯। গত ১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার হওয়ায় টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।

বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে সময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত রোববার গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।