২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০২৮ জন এবং মারা গেছেন ৬৯ জন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৪০২তম দিনে নতুন ৬৯ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৮৯১ জন। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গতকাল সর্বোচ্চ ৮৩ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০২৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩২ হাজার ৯৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ছয় হাজার ২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৩টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৮টি নমুনা।

এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৮৫৩ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে জন ৪৩ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬৩ জন হাসপাতালে ও পাঁচ জনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এক জন মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা নয় হাজার ৮৯১। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৩৭৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং দুই হাজার ৫১৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬৯ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিন জন, চল্লিশোর্ধ্ব সাত জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৯ জন রয়েছেন।

আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে তিন জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, সিলেট বিভাগে দুই জন, রংপুর বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন।