লকডাউনে মুভমেন্ট পাস ছাড়া বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক

সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে চলছে ৮ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। আগের বারের লকডাউন ছিল শিথিল, মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও কঠোর অবস্থানে দেখা যায়নি।

যদিও লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীতে মুভমেন্ট পাস ছাড়াও অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন এবং পুলিশের সঙ্গে চেকপোস্টে তর্কে জড়িয়েছেন। তবে পুলিশ সদস্যরা মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে রাজধানীতে চলাচল করতে দেয়নি।

লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের জন্য পুলিশ সদর দফতরে আইটি বিভাগের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে মুভমেন্ট পাস অ্যাপ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়।

পুলিশ সদর দফতরের সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১টা পর্যন্ত মুভমেন্ট পাস ওয়েবসাইটে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪৯৫টি নক/হিট হয়েছে, প্রতি মিনিটে ১৪ হাজার ৫৫৭ হিট/নক হচ্ছে।

গত ২৬ ঘণ্টায় ২ লাখ ২২ হাজার ২২৯ জন ব্যক্তি মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের প্রদত্ত তথ্যের বিশ্লেষণ করে ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯ জনকে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, মুভমেন্ট পাস নেওয়ার জন্য মানুষজন অনেক অহেতুক কারণ দেখিয়ে আবেদন করছেন। অযৌক্তিক কারণ গুলো বাদ দিয়ে একেবারেই জরুরি ও যৌক্তিক কারণে যারা আবেদন করছেন তাদের মুভমেন্ট পাস দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে বসানো যে চেকপোস্ট রয়েছে সেগুলোতে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে যারা চলাচলের জন্য মুভমেন্ট পস নেননি তাদের চলাচলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।

শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেট, মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পাইকপাড়া, গাবতলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। মুভমেন্ট পাসের প্রিন্ট কপি বা মোবাইলে পাসের কপি দেখিয়ে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন চলাচল করছেন।  যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে পুলিশ সদস্যরা চলাচলকারীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন। প্রয়োজনে মামলা ও জরিমানাও করছেন তারা।