চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক সাজেদুল আউয়াল আর নেই

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক সাজেদুল আউয়াল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। করোনাপরবর্তী নানা জটিলতায় ভুগে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই অগ্রজ চলচ্চিত্র সংসদকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির অন্যতম চলচ্চিত্রকর্মী বেলায়েত হোসেন মামুন এবং অভিনেতা আফফান মিতুল। তারা জানান, রাজধানীর হাতিরপুল বাসায় তিনি মারা যান।

সাজেদুল আউয়ালের একমাত্র ছেলে ইশরাত শামীম অনন্ত বলেন, ‘বাবা গত মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে তার করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর কিছুটা ভালো ছিলেন। আজকে সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই বলছিলেন, খারাপ লাগছে। কিছুক্ষণের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তখন অ্যাম্বুলেন্স কল করি। কিন্তু আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান। তাকে হাসপাতালে আর নিতে পারিনি।’

সাজেদুল আউয়াল নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ছিটকিনি’। তিনি একজন অগ্রজ চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ছিলেন। এদেশের নাট্য-আন্দোলনেও রয়েছে তার দীর্ঘ পরিক্রমা। তার রচিত প্রথম কাব্যনাটক ‘ফণিমনসা’। ১৯৮০ সালে নাটকটি মঞ্চায়নকালে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল, যার রেশ এখনও রয়ে গেছে।

এদেশে চলচ্চিত্র-সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তার অনেক অবদান। চলচ্চিত্র-বিষয়ে রয়েছে তার অনেক গ্রন্থ, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র অধ্যয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তিনি শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগ এবং বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটে।

চলচ্চিত্র নির্মাণে তার সূচনা ১৯৯৯ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নির্ভানা’র মধ্য দিয়ে। এরপর দীর্ঘ সময় নিয়েছেন প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের কাহিনিচিত্র নির্মাণে। ২০১৭ সালে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘ছিটকিনি’। ছবিটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও তৈরি করেছেন তিনি।