মিয়ানমারের সামরিক সরকারবিরোধীরা জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করেছে। অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া পার্লামেন্ট সদস্য, জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও আদিবাসী গোষ্ঠীর সম্মিলিতভাবে এই সরকার গঠন করেছে। শুক্রবার গঠিত এই ঐক্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের লক্ষ্য সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
সূত্র : রয়টার্স
১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার। গত বছরের নভেম্বরে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া অং সান সু চির দলকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। সামরিক শাসনের বিরোধিতায় রাজপথে নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে সাত শতাধিক মানুষ নিরাপত্তাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনে নিহত হয়েছে।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে দায়িত্বশীলদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। ঐক্য সরকারের স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে গৃহবন্দি অং সান সু চিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মিন কো নাইং বলেছেন, জনগণের ইচ্ছাই হবে তাদের সরকারের অগ্রাধিকার।
তবে দায়িত্ব কঠিন তা স্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, আমরা এই পরিস্থিতির একেবারে শেকড় থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি। ফলে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হবে অনেক বেশি।
এই বিষয়ে জান্তা সরকারের এক মুখপাত্রের কোনও প্রতিক্রিয়া পায়নি রয়টার্স।
ঐক্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক সমর্থন ও স্বীকৃতি আদায়। সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী ড. সাসা সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে দেশটির বৈধ নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ড. সাসা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের নেতা। তাই মুক্ত ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে তাহলে এর অর্থ হলো তারা গণতন্ত্রকেই প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, তাদের লক্ষ্য একটি ফেডারেল ডেমোক্র্যাটি ইউনিয়ন গড়ে তোলা।