রাজধানীর মিরপুরে সংখ্যালুঘু হিন্দু পরিবারের উপর হামলা-ভাঙচুর-লুট

রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম শেওড়া পাড়ায় পলাশ মণি দাস তার মা গৌরী রানী দাসসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। তার বাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং আলমারিতে রাখা ১০ ভরি সোনার গয়না ও নগদ ২ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা প্রথমে সন্ধ্যায় ৭টার দিকে একবার বাড়ির ফটক ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করার চেষ্টা করে। মূল ফটক ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে জালানার থাই কাচ ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সে সময় পলাশ ও আশ পাশের লোকজন ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়। হামলার সময় তাদের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। হামলাকারীদের বেশীরভাগের গায়ের ইসলামী পোশাক পাঞ্জাবী টুপি ছিল। হামলার সময় তারা সনাতন ধর্মাবলীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার ফোন করার সত্ত্বেও তারা কোনো ফোন রিসিভ করে নাই।

পলাশ মণি দাস এর বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বারান্দার জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করা। দুই ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করা। আলমারি ভাঙচুর করা। বাসায় কাঁচের জিনিসপত্র সব ভাঙ্গা।

পরদিন বুধবার থেকে উক্ত পরিবারের সদস্যরা প্রাণভয়ে এলাকাছাড়া। অন্য এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা আশ্রায় নিয়েছেন। উল্লেখ্য গত সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর থেকে দেশে হিন্দু ধর্মাবলীদের উপর হামলা হচ্ছে। হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করছে।

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে মিরপুর সহকারী পুলিশ কমিশনার ওমর ফারুকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আর কোনো হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য পুলিশ সজাগ আছে। সমাজের অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে পুলিশ কাজ করছে। হামলার যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে দেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।