মামলা হয়েছে শুনে যা বললেন জায়েদ খান

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে গত ৫ আগস্ট। তারপর থেকে আগের সরকারের নেতাকর্মীদের মতোই কিছুটা আত্মগোপনে শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ফেরদৌস আহমেদ, মমতাজের মতো তারকার খোঁজ এখনো মেলেনি।

এরইমধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় নাম উঠে এলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া অভিনেতা জায়েদ খানের নাম। মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। বর্তমানে তিনি কানাডায় আছেন।

সেখান থেকে জায়েদ বলেন, মামলার বিষয় জেনেছি। যারা নীতি নির্ধারক আছেন বিশেষ করে বিএনপির নেতাকর্মী যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে গিয়ে শিল্পীদের উপর এ ধরনের মিথ্যা মামলা যেন না করা হয়। এতে যেমন শিল্পীদের প্রতি হেনস্তা করা হবে তেমনি আসল অপরাধী বেঁচে যাবে।

তিনি আরও বলেন, একজন শিল্পী যে কাজটার সঙ্গে জড়িত না বা সে জানেই না তাকে মিথ্যাভাবে অনেক আগের একটা ভাঙচুর মামলা দিয়ে তাকে হেনস্তা করা কোনোভাবে কাম্য না। তবে সুনির্দিষ্টভাবে যদি কারও উপর অভিযোগ থাকে এবং প্রমাণ হয় তাহলে বিচার করে যে শাস্তি আসবে সেটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নাই।

এদিকে, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মতিঝিল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্নেল ফারুক খান, ফজলে নূর তাপস, নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদসহ অনেক পরিচিত মুখ।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে আসামিরা হামলা চালান।

এসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪ টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এসময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন।