ধান কাটার শ্রমিক সেজে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা, আটকে দিল পুলিশ

চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল পুলিশ। আজ রোববার ভোরের দিকে ধান কাটার শ্রমিক সাজা ৪১ যাত্রীকে আটকে দিয়েছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।

নেত্রকোনার আইনশৃঙ্খলা তথা সর্বসাধারণকে সুরক্ষিত রাখতে রাত জেগে রাজপথ চষে বেড়াচ্ছেন পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা। করোনা প্রতিরোধে জেলাবাসীকে সুস্থ রাখতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে রাত জেগে নজরদারি করে যাচ্ছেন জেলায় বহিরাগতদের ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীবাহী একটি বাস আটক করেন।

ঢাকার মিরপুর থেকে ৪১ যাত্রী নিয়ে আসা বাসটিকে জেলা শহরের প্রবেশমুখে পাড়লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। বাসযাত্রী সবাই নিজেদের ধান কাটার শ্রমিক বলে দাবি করে। পরে জেরার মুখে পুলিশকে ফাঁকি দিতে পারেনি তারা। নেত্রকোনা শহরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাদের। সেখান থেকেই ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয় তাদের।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘দেশের করোনা মোকাবিলায় এ সময়ে ইমোশন দেখিয়ে তো জেলার লাখ লাখ মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী বাসটিকে শহরে ঢুকতে না দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন তথা ঘরে অবরুদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।’

সরকারি নির্দেশনা মেনে করোনা প্রতিরোধে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ধানকাটা শ্রমিক সেজে নেত্রকোনা শহরে ঢোকার মুখে আটকে দেয় পুলিশ।