‘লাল গেন্দা ফুল’ এর সেই রতন কাহারকে নিয়ে ডকুমেন্টারি

 

সাম্প্রতিক আলোচিত নাম পশ্চিমবঙ্গের গীতিকবি ও লোক শিল্পী রতন কাহার। সাড়া জাগানো গান ‘লাল গেন্দা ফুল’-এর এই গীতিকার ও শিল্পীকে নিয়ে এবার তৈরি হতে যাচ্ছে ডকুমেন্টারি। নির্মাণ করছেন ‘দুধ পিঠের গাছ’ খ্যাত নির্মাতা উজ্জ্বল বসু।

শিল্পী রতন কাহারকে নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন রাঢ় বাংলার বিশিষ্ট লোক গবেষক, লেখক রাধামাধব মণ্ডল। তাঁর গবেষণার তথ্য সরবরাহের উপর ভিত্তি করেই নির্মিত হতে যাচ্ছে ডকুমেন্টারিটি।

প্রাথমিক ভাবে রতন কাহার ও তার পরিবারের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছেন গবেষক রাধামাধব মণ্ডল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পী রতন কাহার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘রাধামাধববাবু আমাকে, আমার জীবনকে নিয়ে বহু কাগজে লিখেছেন স্ববিস্তার। আকাশবাণীর এই সময়ের কর্মকর্তা সিদ্ধার্থবাবুকেও চিনলাম তাঁর দৌলতে। তিনি বাংলাদেশের সংবাদ পত্রের পাতায়ও লিখেছেন। তাঁর লেখা বড় মিষ্টি! সে আমার উপর কাজ করবে শুনে আনন্দ পেয়েছি! পরিচালক উজ্জ্বল বসুকেও আমি তাঁর থেকেই চিনেছি। চিনেছি শ্যামবাবুকেও! তাঁরা আমার উপর তথ্যচিত্র করবে, এ আমার পরম সৌভাগ্য!’

শুধু ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটিই নয়, তার লেখা বহু গান মানুষের মুখে মুখে। ‘কালো কি ছুঁলে কালো হয়/ওহে রাই তোমারে শুধাই’- রাঢ় বাংলার মাটি পথে, রাঙা ধূলোয় খঞ্জনি বাজিয়ে কীর্তন গাওয়া, এ-মাটির অতি প্রাচীন এক সংস্কৃতি। কার্তিকের শুরুর দিন থেকে সংক্রান্তি পর্যন্ত নগরের পথে পথে এগান আজও গাওয়া হয় বলে জানান রাধামাধব।

বাবার উপর তথ্যত্রি নির্মাণ নিয়ে রতন কাহারের ছেলে শিবনাথ বলেন, আমি শুনেই বাবাকে বলেছি। আমরা চাই রাধামাধব মণ্ডলরা আমার বাবার গোটা জীবন তুলে ধরুক। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, প্রয়োজনে লক ডাউন উঠে গেলে তাঁরা আমাদের এখানে আসবেন বলেছেন। এলে আমরা বাবার সমস্ত তথ্য তাদের হাতে তুলে দেব।

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পরিচালক উজ্জ্বল বসু বলেন, লেখক রাধামাধব মণ্ডল আমাদেরই একজন। তাঁর মাধ্যমেই আমি ও শ্যামদা একদিন কথা বলেছি রতন বাবুর সঙ্গে। সে দিন তিনি একটু অসুস্থ ছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলে, আমরা কাজ শুরু করে দেব। বহু মানুষকে সঙ্গে লাগবে। আমাদের সঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক সৌরভ ঘোষও আছেন।

গবেষক রাধামাধব মণ্ডল ও পরিচালক উজ্জ্বল বসু জানান, এই তথ্য চিত্র নির্মাণে সঙ্গে রয়েছে শ্যামসখা নামের একটি সংস্থা।