কিম জং উনকে নিয়ে ছড়ানো গুজবের অবসান হলো অবশেষে। টানা ২০ দিন পর জনসম্মুখে দেখা গেলো নর্থ কোরিয়ার এই একনায়ককে।
নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি(কেসিএনএ) জানিয়েছে, কিম জং উন ফিতা কেটে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন।
সঙ্গে এও লেখা হয়, শুক্রবার তাকে পেয়ে ওই কারাখানার কর্মকর্তা-কর্মাচরি আনন্দে চিৎকার করে উঠে।
গত ১২ এপ্রিলের পর এই প্রথমবার দেখা গেলো তাকে। এর মধ্যে তার স্বাস্থ্য নিয়েও বেশ গুজব ছড়িয়েছিল। নর্থ কোরিয়ার ওই খবরের সঙ্গে কিমের একটি ছবিও ছাপা হয়েছে।
কেসিএনএ-এর খবরে আরও বলা হয়, শুক্রবারের আয়োজনে কিমের সঙ্গে আরো কিছু সিনিয়র নর্থ কোরিয়ান কর্মকর্তারা ছিলেন, তার মধ্যে বোন কিম ইয়ো জংও ছিলেন।
পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরে ওই সার কারখানার ফিতা কেটে কিম বলেন, ‘এই কারাখানার উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।’
দেশের রাসায়নিক শিল্প ও খাদ্য উৎপাদনের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করায় তাদের প্রশংসাও করেন তিনি।
গত ১৫ এপ্রিল নর্থকোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পিতা কিমের দাদুর জন্মবার্ষিকী উৎযাপন অনুষ্ঠানেও উপস্থিত না হওয়ায় কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে নানান কথা ছড়াতে থাকে।
নর্থ কোরিয়ায় সবচেয়ে বড় আয়োজন থাকে সেই উদযাপনে। প্রতিবছর কিম ওই দিনটিতে তার দাদার সমাধিতে যান এবং কখনো এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এরপরই ডেইলি এনকে তাদের এক খবরে জানায়, কিম জং উন গত আগস্ট থেকে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে তা খুব খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
শুরু হয় এই তথ্যের বিশ্লেষণ। প্রতিদ্বন্দ্বি সাউথ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও জানায় তাদের গোয়েন্দা সংস্থা এই দাবি পর্যবেক্ষণ করছে।
পরে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, কিমের হার্টের সার্জারির পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যদিও সাউথ কোরিয়া সরকার ও চীনা গোয়েন্দারা জানায়, এসব খবর সত্য নয়, ভিত্তিহীন।