করোনাভাইরাস: দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৩

দেশে কোভিড-১৯ শনাক্তের ৬১তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মৃত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা। ফলে দেশে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯৯।

এরআগে ১৭ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ ১৫ জনের ‍মৃতু হয়।

এরআগে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৮৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৩৮২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ লাখ পাঁচ হাজার ৫১৩টি।

ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, নতুন যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে আরও ৭০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৪২৫ জনে। সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯১০।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন তেরো লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে পঞ্চমবারের মতো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।