আইপিএল বাতিলে ৪০ হাজার কোটি লোকসানে পড়বে বিসিসিআই

করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকাল স্থগিত করে রাখা ২০২০ আইপিএল এবছর আর আয়োজন সম্ভব কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআই। সংকট কাটার পর অনুকূল কোনো সূচি বের করতে না পারলে বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ১৩তম আসর। তেমন হলে কপালে দুঃখ আছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বোর্ডটির এক কর্মকর্তা। আসর বাতিল হলে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই।

‘বিসিসিআই বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে যাবে। যদি আইপিএল সময় মতো আয়োজন না হয় তাহলে ৪০ হাজার কোটি রুপি (৫৩০ মিলিয়ন ডলার) কিংবা তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।’ ক্ষতি নিয়ে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সবচেয়ে ধনী বোর্ডের ট্রেজারার অরুণ ধামাল।

অন্যসব ক্রিকেট বোর্ডের মতো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া বিসিসিআইও। তবে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের গুটিয়ে রাখতে হচ্ছে বোর্ডটিকে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অনুকূলে না আসা পর্যন্ত সবরকম খেলাধুলা বন্ধ রাখার পক্ষে ভারত সরকার।

মার্চে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাতিল হলেও তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই ভারতীয় বোর্ডের, চিন্তায় যত এখন আইপিএল ঘিরে। প্রতি বছর টি-টুয়েন্টির আসরটি দিয়েই কেবল ১১ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব আদায় হয় ভারত সরকারের। আর্থিক কনসালটেন্সি ফার্ম ডাফ এন্ড ফেলপেসের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালুর দাম দাঁড়িয়েছে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে।

করোনার কারণে অনেক বোর্ডই বাধ্য হয়েছে খেলোয়াড়দের বেতন কাটছাঁট করতে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডও দাঁড়িয়ে আছে একই কাতারে। স্প্যানিশ লা লিগা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও হাত পড়েছে খেলোয়াড়দের বেতনে।

ধামাল বলছেন ভারতের ক্রিকেটারদের বেতনে হাত দিতে চায় না বোর্ড। নিতান্ত বাধ্য হলে তবেই একদম শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড়দের বেতন কাটা হবে, ‘আমরা কাজ করছি যে কিভাবে খেলোয়াড়দের বেতন বাঁচানো যায়। এটা আমরা একেবারেই শেষ মুহূর্তে দেখতে চাই।’