বার্সার নেইমার-মার্টিনেজ স্বপ্নে লাগাম টানবে লা লিগা

আগামী মৌসুমে ইন্টার মিলান থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লৌতারো মার্টিনেজকে বার্সেলোনার কেনার স্বপ্ন নতুন নয়। করোনা পরিস্থিতিতে ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের দাম খানিকটা পড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনাও জেগেছে। কাতালানদের সামনে সুযোগ, তাতে ছাই দেয়ার মতো করে লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছেন, আসছে মৌসুম থেকে খেলোয়াড় কেনা-বেচার আইন কঠিন হতে চলেছে। চাইলেই যত খুশি অর্থ খরচ করে মার্টিনেজকে কিনতে পারবে না বার্সা!

লা লিগা প্রধান জানিয়েছেন, বড় ক্লাবগুলোকে যেভাবে ইচ্ছে খরচ করতে দেয়া হবে না এবং প্রয়োজনে খেলোয়াড় কিনতে বাধা দেয়া হবে।

বার্সার অভ্যন্তরীণ সূত্র ধরে ইএসপিএন এফসি জানিয়েছে, আগামী মৌসুমে মার্টিনেজের পাশাপাশি জুভেন্টাস মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচকেও কিনতে চায় ক্লাবটি।

সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই তেবাস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘আমরা ক্লাবগুলোর আর্থিক লেনদেনের দিকে চোখ রাখছি। যেসব ক্লাব সীমার বাইরে গিয়ে খেলোয়াড় ধরে রেখেছে, তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য করা হবে।’

‘এর ফলে একটা প্রভাব তৈরি হবে। ক্লাবগুলো নিজেদের একাডেমির দিকে নজর দেবে এবং খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে বাধ্য হবে। যেভাবে খুশি খরচ করতে দেয়া হবে না, অসম্ভব।’

খেলোয়াড় কেনা, বেতন, কোচ, একাডেমি- সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে বার্সার খরচের পরিমাণ পৌঁছেছিল ৬৭১ মিলিয়ন ইউরোতে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের খরচ ছিল সেখানে ৬৪১ মিলিয়ন। বার্সা আশা করেছিল তাদের আয় দাঁড়াবে মৌসুম শেষে ১ বিলিয়ন ডলারে। করোনার কারণে সেই স্বপ্ন এখন হুমকির মুখে।

ইএসপিএন জানাচ্ছে, চলতি মৌসুমের থেকে আগামী মৌসুমে অন্তত ২০০ মিলিয়ন খরচ করার সামর্থ্য হারিয়েছে বার্সা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে হাত দিতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের বেতন কাটছাঁটে, ৭০ শতাংশ বেতন কম দেয়া হচ্ছে তাদের।

গত মাসে তেবাস জানান, পিএসজি থেকে নেইমার কিংবা ইন্টার থেকে মার্টিনেজকে কেনার মতো সামর্থ্য অন্তত ২০২০-২১ মৌসুমে হবে না বার্সার। এরপরও ক্লাবটি দলবদলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্ডি কার্দোনার জানিয়েছেন, খেলোয়াড় অদলবদল কিংবা সৃজনশীল উপায়ে দলবদল সারতে চান তারা।

তেবাস জানিয়েছেন, ক্লাবগুলোর দলবদলে কড়া নজর রাখবে লা লিগা। খেলোয়াড় কেনার নামে অতিরিক্ত অর্থ ঢালা হলে পরিণাম মোটেও ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।