যেকোনো সময় আঘাত হানবে আম্পান, পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ সতর্কতা

প্রবল শক্তি নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক আকারে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র সৈকতে প্রবল জলোচ্ছাস লক্ষ করা যায়। এর পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে।

ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আম্পান। যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে। সেই কথা ভেবে এরই মধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র সৈকতজুড়ে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করার কাজ চলছে। এ ছাড়া দিঘার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষজনকে পাশের সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে নিয়ে আসার কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।

এমনিতেই করোনা আতঙ্কের জন্য দিঘা বর্তমানে পর্যটকশূন্য রয়েছে। তাই সেভাবে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলেও স্থানীয় মানুষজনকে সুরক্ষিত রাখতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে মানুষ কোনোরকম সমস্যায় পড়লে তার সমাধানের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল এলাকার একাধিক ব্লকে চূড়ান্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দিঘায় বিশেষ ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে ত্রাণ হিসাবে মোট ৪০ হাজার ত্রিপল ও ৩৮৫ মেট্রিকটন চাল পাঠানো হয়েছে।

দিঘা-সহ আশেপাশের অঞ্চলগুলো কোনো মৎস্যজীবী যেন সমুদ্রে মাছ ধরতে না যায় সে ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে আম্পান। তবে তার আগে অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে ধীরে ধীরে শক্তি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।