প্রধানমন্ত্রীর করোনা প্যাকেজ জাতির জন্য নির্মম পরিহাস, সোনিয়া গান্ধী

করোনা মোকাবেলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেয়া ২০ লাখ কোটি টাকার প্যাকেজের সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, সরকারের এ প্যাকেজ দেশের মানুষের সাথে নির্মম পরিহাস।

সরকার গণতান্ত্রিক হওয়ার ভান ছেড়ে দিয়েছে, দরিদ্রদের প্রতি কোন সমবেদনা নেই।

শুক্রবার করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটির বিরোধী দলের নেতাদের সাথে প্রথম অনলাইন আলোচনায় সোনিয়া গান্ধী এসব বলেন।

করোনায় নেয়া মোদি সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সকল ক্ষমতা এখন প্রধানমন্ত্রীর অফিস কেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

কংগ্রেস প্রধান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি “মারাত্মক পঙ্গু” হয়ে গেছে, খ্যাতিমান প্রতিটি অর্থনীতিবিদ তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিশাল আর্থিক প্রণোদনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু  প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং অর্থমন্ত্রী পরবর্তী পাঁচ দিনে প্যাকেজটির বিশদ বিবরণ ঘোষণা” দেশের জন্য নির্মম পরিহাস হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সোনিয়া গান্ধী সরকারের করোনাভাইরাস মোকাবিলার কৌশলের প্রতি কটূক্তি করে বলেন, “ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ২১ দিনে শেষ হয়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক যে আশা করেছিলেন, তা একেবারেই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন তো মনে হচ্ছে ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত ভাইরাস এখান থেকে নির্মূল হবে না। আমিও মনে করি যে সরকার লকডাউনের মানদণ্ড সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না, এমনকি কীভাবে লকডাউন উঠবে সে নিয়েও কোন কৌশল নেই।”

তিনি জানান, অভিবাসী শ্রমিক ছাড়াও যারা “নির্মমভাবে অবহেলিত হয়েছেন” তাদের মধ্যে রয়েছে ১৩ কোটি পরিবার। এতে প্রান্তিক কৃষক এবং ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন; দিনমজুর বা অপ্রশিক্ষিত কর্মীরা রয়েছেন; দোকানদার এবং স্ব-কর্মসংস্থানে নিযুক্তরা আছেন এবং সংগঠিত শিল্পও রয়েছে।

এ সময় ওই জুম আলোচনায় যোগ দেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবে গৌড়া। তবে অনুপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল।