স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার অনুরোধ, বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল

দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রে মন্দাভাব। সারা বছরই দর্শকশূন্য থাকে প্রেক্ষাগৃহ। তবে দুই ঈদে হল থাকে পরিপূর্ণ। রোজার ঈদে বেশি ব্যবসা করেন সিনেমা হল মালিকরা।

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ জানান, রোজার ঈদে যে টাকা আসে, তা দিয়ে সারা বছর চলতে হয় সিনেমা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কোরবানির ঈদে রোজার ঈদের অর্ধেক টাকা আসে। আর সারা বছর ক্ষতি গুণতে হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব সিনেমা হল। তবে ঈদ উপলক্ষে সিনেমা হল খোলা রাখতে চেয়েছিলেন কয়েকটি সিনেমা হলের মালিক। পুরোনো সিনেমা প্রদর্শনীর মাধ্যমে হলেও সিনেমা হল চালু রাখার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।

তবে মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যিনি বর্তমানে নেতৃত্বশূন্য হল মালিকদের সংগঠনের প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন।

মধুমিতা সিনেমা হলের অফিসে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, আতিকুর রহমান লিটন, সিরাজুল ইসলাম বাদল (বর্ষা), পাপ্পু (নন্দিতা হলের ভাড়া মালিক), আলীক আকবর (মনিহারের ভাড়া মালিক), কালাম (এশিয়ার ভাড়া মালিক), মুবিন (চিত্রমহলের ভাড়া হল মালিক), আলীম সরদার (বুকিং এজেন্ট), শহীদুল হক মাস্টার (বুকিং এজেন্ট) এবং অজিৎ নন্দী (ভাড়া হল মালিক)। তাঁদের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হল চালু রাখার।

উপ-সচিব আব্দুল আউয়াল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এবার ঈদে কোনো সিনেমা হল খুলছে না। করোনার কারণে লকডাউন শুরুর দিকে সিনেমা হল বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটি বহাল থাকছে।’

অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচন স্থগিত করে উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল আউয়ালকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।